
মোঃ শফিকুল ইসলাম,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ য়মনসিংহ ৬ ফুলবাড়ীয়া আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন ঘোষণাকে ঘিরে স্থানীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মুহা. কামরুল হাসান মিলনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক নেতা–কর্মী। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন সাহেবকে উপেক্ষা করায় সংগঠনের ভেতরে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবিতে সম্প্রতি ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়ীয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা ব্যানারে আয়োজিত ওই বিক্ষোভ মিছিলে অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিনকে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়।বিক্ষোভকারীরা বলেন,১৫০ ময়মনসিংহ ৬ ফুলবাড়ীয়া আসনে জামায়াতে ইসলাম মানে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন সাহেব। তিনি সকলের পরিচিত, শ্রদ্ধাভাজন এবং জনসম্পৃক্ত নেতা। জনগণের ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন বহু বছর ধরে।”বক্তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা যাচাই করে অবিলম্বে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন, অন্যথায় আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের ভরাডুবি অনিবার্য। ছাত্রশিবির ফুলবাড়ীয়া থানার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেন মঞ্জু বলেন,“অধ্যাপক জসিম উদ্দিন শুধু একজন নেতা নন, তিনি ফুলবাড়ীয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসের অংশ। দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জনগণের পাশে থেকেছেন এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন সহ্য করেছেন। স্থানীয় নেতা এ কে এম মোফাজ্জল হক তারা বলেন,“অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ছাড়া ১৫০ ময়মনসিংহ ৬ আসনে জয়ের সম্ভাবনা আকাশকুসুম কল্পনা করার মতো অনেকটাই। দল যদি এই বাস্তবতা অস্বীকার করে, তাহলে নির্বাচনী ফলাফল হবে নিশ্চিত ভরাডুবি।” অন্যদিকে, মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহা. কামরুল হাসান মিলন বিক্ষোভকারীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন,যারা মিছিল করেছেন তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদধারী নেতা নন; তারা কেবল সমর্থক। এসব করে কোনো লাভ হবে না। এ বিষয়ে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সেক্রেটারি ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,“মনোনয়ন পাওয়া বা না পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। তবে কেউ যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তাহলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।”এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন সাহেব বলেন,যারা বিক্ষুব্ধ হয়েছে তারা আমাদেরই কর্মী। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করতে হবে, কোনো পুলিশি আচরণ বা দমননীতি নয়।স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দের দাবি, অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে প্রার্থী করলে সংগঠনের মধ্যে ঐক্য ফিরবে এবং ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।