MBN24:
জাতীয় নাগরিক পার্টি ‘এনসিপি’ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট জাবেদ রাসিন ‘ময়মনসিংহ – ৬, ফুলবাড়ীয়া আসনের’ ফলবাড়ীয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট জাবেদ রাসিন।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) আসনের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, জাবেদ রাসিনের পক্ষ থেকে এই ১০ দফা প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হলো। ১. যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন ফুলবাড়ীয়া থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক পর্যন্ত রাস্তা ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। উপজেলার ভেতরের ও অন্যান্য উপজেলার সাথে সংযোগ সড়ক প্রশস্ত করা হবে। গ্রামীণ রাস্তাগুলো টেকসইভাবে শতভাগ পাকা করা হবে। শহরের যানজট কমাতে ভেতরের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিক ও শৃঙ্খলিত করা হবে। ২. স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা সুবিধা উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে এবং ধাপে ধাপে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যুক্ত করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নের ক্লিনিক ও কমিউনিটি ক্লিনিক আধুনিকায়ন করা হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ বাড়ানো হবে। জরুরি সেবার জন্য ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হবে, যাতে সময়মতো চিকিৎসা পাওয়া যায়। ৩. কৃষি থেকে শিল্পে উত্তরণ ও কর্মসংস্থান ফুলবাড়ীয়াকে শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবেশবান্ধব শিল্পাঞ্চল (গ্রিন ইপিজেড) স্থাপন করা হবে। কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে স্থানীয়ভাবে কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হবে। এতে কৃষকের আয় বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আইটি পার্ক গড়ে তুলে প্রযুক্তিভিত্তিক কাজের সুযোগ তৈরি করা হবে। ৪. শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন ফুলবাড়ীয়া কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা নিজ এলাকায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়। যুবসমাজ ও স্বল্প শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য কারিগরি ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে তরুণরা দক্ষ হয়ে কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারবে। ৫. বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি সুবিধা উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হবে। শিল্প, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে ফুলবাড়ীয়ায় গ্যাস সংযোগ আনা হবে, যা শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াবে। ৬. প্রযুক্তি বিস্তার ও উদ্যোক্তা সহায়তা প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হবে। যুবসমাজকে ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি খাতে দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ছোট ব্যবসা ও উদ্যোগের জন্য সহজ ঋণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা দেওয়া হবে। নারী ও যুব উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ কর্মসূচি চালু করা হবে। ৭. আইন-শৃঙ্খলা ও নাগরিক সেবা আছিম এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। নারী, শিশু ও প্রবীণদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে নাগরিক সেবা ডিজিটাল করা হবে, যাতে সনদ, আবেদন ও অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। মাদক ও সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৮. পানি, পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন আখালিয়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধ সংলগ্ন পার্ক তৈরি করা হবে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করে ফুলবাড়ীয়াকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করা হবে। খাল, বিল ও জলাশয় পরিষ্কার ও সংরক্ষণ করা হবে। গ্রামের প্রকৃতি ও সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে ভিলেজ ও ইকো টুরিজম চালু করা হবে। ৯. পরিকল্পিত শহরায়ন ও আবাসন ফুলবাড়ীয়াকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ফুটপাত, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ করা হবে, যাতে বসবাসযোগ্য শহর গড়ে ওঠে। ১০. শিশু, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও সামাজিক উন্নয়ন শিশুদের জন্য খেলার মাঠ এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রবীণদের ভাতা ও স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। সামাজিক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতি চর্চা জোরদার করা হবে। আমি কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিতে চাই। ফুলবাড়ীয়ার মানুষের জীবনে স্থায়ী উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়ার জন্য জনগণ সুযোগ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ্।



